ফিটনেস টেস্ট দিতে মিরপুরে সাকিব

আইসিসির দেয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

সেই লক্ষ্যে গত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন সাকিব। শনিবার করান নিজের করোনা পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে থাকা সাকিবের ২২ গজে নামতে বাকি ছিল ফিটনেস পরীক্ষা। আজ সোমবার সেই পরীক্ষার জন্য মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অপেক্ষায় রয়েছেন সাকিব।

সকাল ১০টা থেকে মিরপুর গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে এই ফিটনেস টেস্ট। চলবে ১১টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ফিটনেস টেস্ট দেবেন ২১ জন, যেখানে সাকিবও রয়েছেন।

যদিও সাকিবের ফিটনেস নিয়ে অনেকটাই নির্ভার বিসিবি কর্তৃপক্ষ। সাকিবের ফিটনেস প্রসঙ্গে গত ৭ নভেম্বর আকরাম খান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ফিটনেস নিয়ে সাকিবের সমস্যা হবে না।

তবে ফিটনেসের একটা মান তো আছে। সেই মাপে সবাইকে দেখতে হবে। সাকিব বিদেশ থেকে এসেছে এবং এতদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিল। সে সময় পেলে নিজের ফিটনেস ওপরের দিকে নিতে পারবে। তাই এ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’

মিরপুর গ্রাউন্ডে আজ থেকে বিসিবির ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নেবেন সব মিলিয়ে ১১৩ ক্রিকেটার। এ তালিকায় নেই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। তবে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে রাখা হয়েছে।

মাশরাফির ফিটনেস পরীক্ষা নিয়ে আকরাম খান জানিয়েছেন, ‘আমরা ফিজিওর সঙ্গে আলাপ করে যে রিপোর্ট পেয়েছি, তাতে মাশরাফি বলেছে সে আপাতত ফিট না। যখন ফিট হবে তখন সে জানাবে। এর পরই ফিটনেস টেস্ট দেবে।’

দীর্ঘদিন করোনায় খেলা স্থগিত থাকায় ক্রিকেটারদের গায়ে মরচে পড়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের স্বার্থেই তাদের ফিটনেসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি।

এ বিষয়ে বিসিবির ফিটনেস ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আসলে অনেক দিন পর প্লেয়াররা খেলায় ফিরছে। যারা ন্যাশনাল টিমের প্লেয়ার এবং যারা এইচপির প্লেয়ার, তারা ইতিমধ্যে প্র্যাকটিস করতে পেরেছে। তাদের ফিটনেস অনেকটাই ভালো। এখন যারা খেলায় ফিরবে, মূলত তাদের ফিটনেসের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতেই এই ফিটনেস টেস্ট।’

এদিকে প্রথমে ১৫ নভেম্বর টুর্নামেন্ট শুরুর কথা থাকলেও সেটি পিছিয়েছে। ২১ বা ২২ নভেম্বরে এই টুর্নামেন্ট শুরুর পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান।

আপনি আরও পড়তে পারেন